টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের টবে বোম্বাই মরিচ চাষ করার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি সহ বোম্বাই মরিচ এর আরো অনেক অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব।
বোম্বাই মরিচ সাধারণত প্রচন্ড পরিমাণ ঝাল হওয়ায় এটি সর্বাধিক লোকের কাছে বেশ পরিচিত এবং প্রিয় একটি জাত। বোম্বাই মরিচ খুব সহজেই শুধুমাত্র এক মাসের মধ্যেই ফলানো যায় বলে এটি বাসার ছাদে, বাড়ির আশেপাশে ফাঁকা জায়গায় বা বারান্দায় খুব ভালো ফলন হয়। চলুন জেনে নিই টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি
টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকলে আপনিও খুব সহজেই এটি আপনার বাসার ছাদে অথবা বেলকনিতে লাগাতে পারবেন। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রজাতির মরিচ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বোম্বাই মরিচ। খেতে প্রচন্ড ঝাল। এই মরিচকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। বোম্বাই মরিচের আরো একটি প্রচলিত নাম হচ্ছে নাগা মরিচ। এই মরিচটি এশিয়া মহাদেশের আরো অনেক দেশে চাষাবাদ করা হয়।
আরো পড়ুন: নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এটি বাংলাদেশ শ্রীলংকা এবং ভারত সহ আরো অনেক জায়গায় চাষাবাদ করা হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সিলেট এবং বরিশাল অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে কৃষকেরা চাষাবাদ করছে। বর্তমানে এটি অনেকেই ছাদে বা বেলকনিতে টবে লাগিয়ে থাকে। বোম্বাই মরিচ আমাদের দেশে শীত এবং গ্রীষ্মকাল উভয় ঋতুতেই ভালোভাবে চাষ করা যায়। এই মরিচ অতিরিক্ত বৃষ্টি অথবা অতিরিক্ত খরা কোনটাই সহ্য করতে পারে না।
বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হলেও এটি বাসা বাড়ির ছাদে বা বেলকনিতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।তীব্র ঝাল এর কারনে বর্তমানে বোম্বাই মরিচ অনেকের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এই মরিচ শুধু ঝালের জন্যই বিখ্যাত তা কিন্তু নয় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়া থেকে শুরু করে মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাদ্য। আর্টিকেলের এই অংশে টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো চলুন জেনে নিই।
- বীজ বা চারা নির্বাচন
- বোম্বাই মরিচ চাষের নিয়ম
- পরিচর্যা
- পোকা দমন
- ফলন
বীজ বা চারা নির্বাচন: তবে বোম্বাই মরিচ চাষ করতে হলে প্রথমে বীজ এবং চারা নির্বাচন করতে হবে। ভালো মানের বীজ নির্বাচন করলে গাছ ভালো হবে। বাজারে যেকোনো নার্সারি বা হর্টিকালচারে ভালো মানের বীজ এবং চারা গাছ কিনতে পাওয়া যায়। তবে যারা নতুন তাদের জন্য সরাসরি বোম্বাই মরিচের চারা কিনে তবে লাগানো উত্তম হবে। তবে আপনি চাইলে বীজ থেকেও চারা উৎপাদন করে গাছ রোপন করতে পারেন।
বোম্বাই মরিচ চাষের নিয়ম: টবে বোম্বাই মরিচ লাগানোর পূর্বে সবার আগে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। প্রতি ১০ ইঞ্চি টবের জন্য প্রথমে ২ ভাগ পরিমাণ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ১ চিমটি ইউরিয়া, ২ চিমটি টিএসপি, ১ চিমটি এবং খুব অল্প পরিমাণ কিছু সরিষার তেল মাটির সাথে মিশিয়ে ৪-৫ দিন মাটিটি রোদে শুকাতে দিতে হবে। তারপর ওই মাটিতে মরিচ গাছের চারা লাগালে গাছের বৃদ্ধি ভালো হবে।
পরিচর্যা: টবে মরিচ গাছ চাষ করলে এতে যত্ন বেশি লাগে। মাটির তুলনায় টবে যে কোন গাছের যত্ন বেশি প্রয়োজন হয়। তবে মরিচ গাছ লাগানোর পর গাছ সবল না হলে প্রতিদিন দিনে ২-৩ বার করে ইউরিয়া মিশ্রিত পানি ভালোভাবে স্প্রে করে দিতে হবে। সপ্তাহের অন্তত একদিন মাটি খুঁড়ে আলগা করে দিতে হবে। গাছের গোড়ায় কোন আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে। সঠিক নিয়মে যত্ন নিলে ২০-২৫ দিনের মধ্যেই ফুল আসবে এবং সেই ফুল থেকে ভালো মানের বোম্বাই বা নাগামরিচ চাষ হবে।
পোকা দমন: টবে মরিচ গাছ লাগানোর পর খেয়াল রাখতে হবে গাছে কোন প্রকার পোকায় আক্রমণ হয়েছে কিনা। কারণ খেয়াল করবেন মরিচ গাছে অনেক সময় পোকাই আক্রমণ হয়। গাছ অল্প পরিমাণ হলে হাত দিয়েই পোকামাকড় মেরে দমন করা যায় তবে গাছের পরিমাণ বেশি হলে অবশ্যই পোকা দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন শাক সবজি গাছে কখনোই কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে শরীরে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে।
ফলন: মরিচ গাছে ফলন আসার পর ফলগুলো গাছে বেশি দিন ধরে রাখলে এতে ফলের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। তাই মরিচ সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত গাছের রাখতে হবে। সব সময় গাছের নিচের শাখা প্রশাখা গুলো কেটে গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাস প্রবেশের জায়গা রাখতে হবে। তাহলে মরিচের আকার বড় হবে। টবের গাছ সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ রোদে রাখতে হবে। মরিচ গাছ ছায়ায় থাকলে গাছে ফুল তুলনামূলক কম আসবে এবং ফুল ঝরে যাবে। ফলে গাছের মরিচ ভরবে না। মনে রাখবেন একটি বোম্বাই মরিচ গাছ সঠিকভাবে যত্ন নিলে অনেকদিন ধরে ফল দেই।
মরিচ গাছ কোন মাটিতে ভালো হয়
মরিচ গাছ কোন মাটিতে ভালো হয় এটি জানা থাকলে মাটি নির্বাচন করা এবং মাটি প্রস্তুত করা খুব সহজ হয়। টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের মরিচ গাছ কোন মাটিতে ভালো হয় সেটি সম্পর্কে জানাবো। কারণ টবে মরিচ গাছ লাগানোর পূর্বে প্রথমে মাটি প্রস্তুত করা জরুরী। উপযুক্ত উর্বর মাটিতে মরিচ গাছ এর চারা রোপন করলে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।
মরিচ গাছ সাধারণত বেলে দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। স্যাতসেতে, কাদাযুক্ত মাটিতে এই গাছ ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। মাটিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে এই গাছ সহজেই মারা যায়। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মাটিটি যেন বেলে দোআঁশ মাটি হয় এবং গাছ লাগানোর জায়গাটি একটু উঁচু হতে হবে যেন পানি জমে না থাকে। মরিচ গাছ লাগানোর পূর্বে মাটিতে সার দিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে।
মরিচের বীজ থেকে চারা উৎপাদন
মরিচের বীজ থেকে চারা উৎপাদন খুব সহজ একটি পদ্ধতি। আপনি চাইলে খুব সহজেই মরিচ বীজ থেকে ভালো মানের চারা উৎপাদন করতে পারবেন। তবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের মনের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানাব। তাহলে আপনিও খুব সহজে কোন ঝামেলা ছাড়া মরিচ বীজ থেকে মরিচ গাছের চারা উৎপাদন করতে পারবেন। চলুন জেনে নিই।
মরিচ বীজ থেকে চারা উৎপাদন করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি ভালো জাতের মরিচ নির্বাচন করতে হবে। এরপর মরিচটি গাছে পরিপক্ক ভাবে পাকা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মরিচটি পেকে লাল হয়ে গেলে এটি পেড়ে ভালোভাবে রোদে শুকাতে দিতে হবে। ভালোভাবে শুকানোর পর মরিচ থেকে বীজগুলো বের করে মাটিতে পুঁতে অল্প একটু পানি দিয়ে ৪-৫ দিন অপেক্ষা করলেই দেখবেন মরিচ বীজ থেকে চারা বের হয়ে গেছে।
কোন জাতের মরিচ বেশি ভালো
কোন জাতের মরিচ বেশি ভালো এটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। কারণ কোন কিছু চাষ করার পূর্বে অবশ্যই তার জাত নির্বাচন করা জরুরি। আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক ধরনের মরিচের জাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিন্দু, ধানি, চট্টগ্রাম, চল্লিশা, উদা, কুমিল্লা, বগুড়া ইত্যাদি। মরিচের জাতের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে চাষ উপযোগী মরিচ হচ্ছে (বারি মরিচ-১)। এই মরিচটি আমাদের দেশের সারা দেশেই খুব ভালো ভাবে চাষাবাদ করা হয়। এই মরিচের ফলন খুব ভালো হয়।
মরিচ চাষের জন্য বীজতলা তৈরির নিয়ম
মরিচ চাষের জন্য বীজতলা তৈরির নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানাবো আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই অংশে। কারণ মরিচ চাষ করতে হলে অবশ্যই এর বীজতলা তৈরি নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত মরিচ চাষ করার ক্ষেত্রে রবি মূল সরাসরি জমিতে বীজ বপন করা যায় এবং খরিফ মৌসুমে প্রথমে বীজতলা তৈরি করা হয় এবং পরবর্তীতে মূল জমিতে রোপন করা হয়। চলুন জেনে নিই মরিচ চাষের জন্য বীজতলা তৈরির নিয়ম সম্পর্কে।
বীজতলা তৈরির জন্য আকার হবে ৩ মিটার এবং ২১ মিটার আকারে দৈর্ঘ্য প্রস্থ নিতে হয় এবং ২১ সেন্টিমিটার উঁচু করা হয়। বীজ তলার উপরের মাটি সাধারণত ১:৪:১ এরকম হারে বালি, মাটি এবং গোবর সার মিশিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। বীজ বপন করার ক্ষেত্রে ৫ সেন্টিমিটার দূরত্ব বজায় রেখে ২-৩ সেন্টিমিটার গভীরে বীজ বপন করতে হবে।
বীজ মাটিতে বপন করার পর এটি পিঁপড়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বীজতলার চারিধারে অবশ্যই সেভিন ডাস্ট ভালোভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে।
প্রায় ৭-১০ দিন পর মাটিতে বীজ ভবনের পরবর্তী সময় বীজগুলোকে অতিবৃষ্টি এবং খড়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পলিথিন বা ঘরের ছাউনি দিয়ে বীজতলা টি ঢেকে দিতে হবে।
বীজ তলায় পানির প্রয়োজন হলে সকালে এবং বিকেলে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বীজ থেকে চারা গজানোর পর ৪-৫ টি পাতা গজালেই এটি উঠিয়ে মাটিতে বা মাঠের রোপণ করতে হবে।
মরিচের চারা রোপণ পদ্ধতি
মরিচের চারা রোপণ পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর মরিচ গাছ লাগানো উচিত। তাহলে কাঙ্খিত মানে ফলন পাওয়া যাবে। মরিচ গাছ লাগানোর সময় গাছ গুলো সারিবদ্ধ ভাবে লাগাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে একটি গাছ থেকে অন্য গাছটি যেন ২৫ থেকে ২৮ ইঞ্চি দূরে হয়। তাহলে গাছ গুলো বড় হলেও একটি গাছ অন্য গাছের সঙ্গে সংঘর্ষ হবে না।
গাছের ডালপালা এগুলো খুব সহজে বাড়তে পারবে। মরিচ গাছ লাগানোর পূর্বে অবশ্যই কোন জাতের গাছ লাগাচ্ছে সেটা খেয়াল করতে হবে। গাছের জাত অনুযায়ী জমিতে প্রতি শতকে ৫০ কেজি হারে সার প্রয়োগ করতে হবে যেন গাছের বৃদ্ধি এবং ফলন উভয়ই ভালো হয়। মরিচ গাছ অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী লাগাতে হবে।
বোম্বাই মরিচের বীজ বা চারা বপনের সময়
বোম্বাই মরিচের বীজ বা চারা বপনের সময় সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বোম্বাই মরিচ গাছ সাধারণত আপনি চাইলে সারা বছরই রোপন করতে পারেন। এটি সারা বছর চাষাবাদ করা হয়। তবে মে মাস থেকে জুন মাস অথবা শীতকালের শুরুতেই অক্টোবর মাসে মরিচ গাছের বীজ বপন করলে অথবা চারা লাগালে এর ফলন খুব ভালো হয়। তাই এই সময়টিকে বোম্বাই মরিচ লাগানোর উপযুক্ত সময় বলা হয়।
মরিচ গাছে সার দেওয়ার নিয়ম
মরিচ গাছে সার দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। সঠিক নিয়মে সার প্রয়োগ না করলে গাছের ক্ষতি হতে পারে এবং অনেক সময় গাছ মরেও যেতে পারে। তাই অবশ্যই মরিচ গাছে সার দেওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপর সার প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে গাছের আর কোন ক্ষতি হবে না। টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি আর্টিকেলের এই অংশে চলুন জেনে নিই মরিচ গাছে সার দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আরো পড়ুন: আম গাছ কোন মাটিতে ভালো হয়
- প্রথমে ৪-৫ টি চাষ এবং মই দেওয়ার মাধ্যমে জমিটি ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে।
- শেষবারের চাষের সময় জমিতে শতক প্রতি ৪০ কেজি গোবর সার, ৫৪০ গ্রাম এমওপি, ১২০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৪৪০ গ্রাম জিপসাম সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
- বীজ বপন করার বা চারা রোপণ করার জন্য ১ মিটার চওড়া ও লম্বা আকারে অর্থাৎ জমির আয়তন অনুযায়ী বেড তৈরি করে দিতে হবে।
- জমিতে পানির সেচ এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধা জন্য অবশ্যই বেড গুলো ১৫ সেন্টিমিটার উঁচু এবং দুই বেডের মাঝখানে ৩০ সেন্টিমিটার চওড়া নালা ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
- ইউরিয়া ও এমওপি সার জমিতে প্রয়োগ করার পর চারা রোপণের বীজ ২০, ৪০ এবং ৬০ দিন পর ৩ বার পুনরায় প্রয়োগ করতে হবে। প্রত্যেকবার জমিতে শতক প্রতি ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া সার মরিচ গাছের গোড়া থেকে প্রায় ১০-১৫ সেন্টিমিটার দূরে মাটিতে ছিটিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
মরিচ গাছের বৃদ্ধির উপায়
মরিচ গাছের বৃদ্ধির উপায় অনেক সহজ। একটি মরিচ গাছের প্রতিদিন কমপক্ষে অন্তত ৬-৮ ঘন্টা পর্যন্ত সূর্যলোকের প্রয়োজন হয়। তাই গাছে সূর্যের আলো পড়ছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও মরিচ গাছ রোপনের সময় মাটিতে অবশ্যই কম্পোস্ট বা অন্যান্য জৈব সার ভালোভাবে মেশাতে হবে। চারা রোপনের পর নিয়মিত গাছে পানি দিলে এবং গাছের যত্ন নিলে এটি প্রতি সপ্তাহের ১-২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
মরিচ গাছের পাতা কোঁকড়ানো রোগের ওষুধ কি
মরিচ গাছের পাতা কোঁকড়ানো রোগের ওষুধ কি এটি প্রায় অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন। কারণ মরিচ গাছের একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে পাতা কোঁকড়ানো রোগ। মরিচ গাছের প্রায় সকল গাছেই এই রোগ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নাই। খুব সহজেই মরিচ গাছের এই রোগ দমন করা যায়।
মরিচ গাছের এই পাতা কোকড়ানো রোগ এ রাতে প্রাকৃতিকভাবে ফসলস সুরক্ষা দেই এমন পণ্য যেমন হলুদ স্টিক ট্র্যাপের ঝুড়ি নেই। এইটা ব্যবহার করেই আপনি খুব সহজেই পোকা দমন করতে পারবেন। রোগ বালাই দমনে ১ কেজি নিম বীজ ভালোভাবে ভেঙে ২০ লিটার পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর বীজগুলো থেকে মরিচ গাছের পাতার উপর ভালোভাবে স্প্রে করে দিলেই এই রোগ সহজেই দমন করা যায়।
ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হলেও এই পাতাকড়ানো রোগ দেখা যায়। তাই এটি গাছে দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই এই রোগের চিকিৎসা করতে হবে। রাখতে হবে এই ছাত্র রা সবগুলো পাতায় প্রবেশ করার আগেই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফুল বা কুড়ি হওয়ার আগেই এই ছত্রাক নাশক স্প্রে করে গাছের রোগবালাই দমন করতে হবে। তাহলে ফলন ভালো হবে।
মরিচ গাছের সব ফুল ঝরে পড়ে কেন
মরিচ গাছের সব ফুল ঝরে পড়ে কেন এটি জানা থাকলে মরিচ গাছের ফুল আর ঝরে পড়বে না। অনেক সময় মরিচ গাছের ফুল ঝরে যায় বলে কৃষকের মনে দুশ্চিন্তা ভর করে। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নাই। কারণ মরিচ গাছের ফুল পড়ে যাওয়ার একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে জমিতে বরণ সারের অভাব। মাটিতে বরণ সারের ঘাটতি হলে মরিচ গাছের ফুল ঝরে পড়ে যায়। জমিতে বোরন সারের ঘাটতি হলে শতক প্রতি ১০ গ্রাম হারে বরণ সার প্রয়োগ করলেই এই সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যাবে। তবে অবশ্যই সার প্রয়োগ করার আগে মাটি পরীক্ষা করতে হবে এবং গাছের গোড়ায় সুষম সার ব্যবহার করতে হবে।
বোম্বাই মরিচ খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা
বোম্বাই মরিচ খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা সম্পর্কে টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি আর্টিকেলের এই অংশে জানাবো আপনাদের আজ। সাধারণত আমরা বোম্বাই মরিচ অনেক ঝাল হয় বলে অনেকেই খেয়ে থাকি। আপনি জানলে অবাক হবেন যে তীব্র ঝাল জাতীয় এই বোম্বাই মরিচে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে ভিটামিন সি থেকে শুরু করে আরো নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেলে এটি আমাদের শরীর সুস্থ রাখে এবং নানা ধরনের জটিল কঠিন রোগের হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা হবে। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতেও অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। বহুগুণে গুণান্বিত আমাদের এই বোম্বাই মরিচ। চলুন জেনে নিই বোম্বাই মরিচের ১২ টি উপকারিতা সম্পর্কে।
বোম্বাই মরিচ খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- মুখের রুচি বৃদ্ধি করে
- ক্যালোরি মুক্ত
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
- ত্বক সুস্থ রাখে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- শরীর সতেজ রাখে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- ত্বকের ইনফেকশন দূর করে
- আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
- চোখ ভালো রাখে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বোম্বাই মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখে এবং কর্মক্ষম করে তোলে। যার ফলে শরীরে শক্তি বজায় থাকে।
মুখের রুচি বৃদ্ধি করে: বোম্বাই মরিচ নিয়মিত খেলে এটি তোমাদের মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অনেক সময় দেখা যায় কোন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার কারণে বা অন্যান্য কারণে আমাদের মুখের রুচি থাকে না। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মরিচ ঝাল হওয়ার কারণে এটি আমাদের মুখের রুচি ফেরাতে সাহায্য করে এবং খাবারের আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দেয়।
ক্যালোরি মুক্ত: বোম্বাই মরিচকে ক্যালরি মুক্ত খাবার বলা হয়। কারণ বোম্বাই মরিচ জিরো ক্যালরিযুক্ত খাবার। এটি নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম এর পরিমাণ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে: বোম্বাই মরিচে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের কোষকে বৃদ্ধি হওয়া থেকে রক্ষা করে। যার ফলে ক্যান্সার হওয়া সম্ভাবনা কমে যায়। তাই বলা যায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে অবশ্যই নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খাওয়া উচিত।
ত্বক সুস্থ রাখে: ত্বকের সুস্থতায় বোম্বাই মরিচের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ বোম্বাই মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিক উপায়ে তেল তৈরি করতে সাহায্য করে। যার ফলে নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেলে আমাদের ত্বক সুস্থ থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বোম্বাই মরিচ আমাদের রক্তে থাকা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। যাদের ডায়াবেটিস এর সমস্যা রয়েছে তাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত বোম্বাই মরিচ রাখা উচিত।
শরীর সতেজ রাখে: নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেলে এটি আমাদের মস্তিষ্ক থেকে এনডোরফিন্স নিশ্চিহ্ন করে যার ফলে আমাদের মন মেজাজ সবসময়ই চাঙ্গা এবং প্রফুল্ল থাকে। মন প্রফুল্ল থাকলে শরীর ভালো থাকে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: বোম্বাই মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের যে কোন খাবার হজম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: বোম্বাই মরিচে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে যার ফলে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
ত্বকের ইনফেকশন দূর করে: বোম্বাই মরিচে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরীরের ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের কোন জায়গায় ইনফেকশন হলে নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেলে এটি উপশম হয়।
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে: বোম্বাই মরিচে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। তাই যদি কারোর রক্তশূন্যতা বা আয়রনের ঘাটতি হয়ে থাকে তারা নিয়মিত বোম্বাই মরিচ খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়।
চোখ ভালো রাখে: বোম্বাই মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ সকল পুষ্টি উপাদান চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা থেকে চোখকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
বোম্বাই মরিচ খাওয়ার নিয়ম
বোম্বাই মরিচ খাওয়ার নিয়ম বলতে এটি আমরা যে কোন উপায়ে খেতে পারি। আমরা বাঙালিরা মরিচ সবচেয়ে বেশি তরকারি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। তবে তরকারি রান্না ছাড়াও আরো অনেকভাবেই মরিচ খাওয়া যায়। মরিচ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় মরিচ খেতে হবে।
বোম্বাই মরিচ আমরা বিভিন্ন ধরনের ভাজার সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকি। এছাড়াও বোম্বাই মরিচের আচার বর্তমানে বাঙ্গালীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশেও বোম্বাই মরিচের আচার এর প্রচলন রয়েছে। এই আচার খেতে বেশ সুস্বাদু। বাঙালিরা শাক ভাতের সাথে কাঁচা মরিচ চিবিয়ে খেতে বেশ পছন্দ করে। এছাড়াও এই মরিচ আমরা বিভিন্ন ভর্তার সাথে মিশিয়েও খেয়ে থাকি।
বোম্বাই মরিচের আচার বানানোর নিয়ম
বোম্বাই মরিচের আচার বানানোর নিয়ম অনেকেই জানতে চান। কারণ আমরা জানি বোম্বাই মরিচের আচার আমাদের মুখের রুচি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিন দিন এই মরিচের আচার বর্তমানে মানুষের অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোট বড় অনেকেই এই আচার অনেক পছন্দ করেন। টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের বোম্বাই মরিচের আচার বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। চলুন জেনে নিই।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- বোম্বাই মরিচ ৫০০ গ্রাম
- তেতুল গোলা পানি ১ কাপ
- আদা বাটা ১ চা চামচ
- রসুন বাটা ২ চা চামচ
- মেথি ও পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ
- মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
- হলুদ গুড়া ১ চা চামচ
- চিনি ২ কাপ
- ভিনেগার ১ কাপ
- সরিষার তেল ২ কাপ
- মাঝারি রসুনের কোয়া ১৫ থেকে ২০ টি
- কাঁচা আমের টুকরো পরিমাণ মতো
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে মরিচগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার মরিচগুলোর মাঝ বরাবর কেটে ভিনেগার দিয়ে ৫-৬ ঘন্টা ভালোভাবে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার অন্যদিকে মেথি এবং পাঁচফোড়ন গুলো ভালোভাবে ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে সরিষার তেলে দিয়ে অল্প আঁচে জাল দিতে হবে।
মসলা গুলো কষানো হয়ে গেলে মরিচগুলো প্যানে ঢেলে দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিতে হবে। এবার চার পাঁচ দিন রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করে নিলেই তৈরি হয়ে গেল বোম্বাই মরিচের অসাধারণ স্বাদের আচার। এগুলো আপনারা দীর্ঘদিন এভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন আবার চাইলে ফ্রিজে রেখেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
বোম্বাই মরিচ খাওয়ার অপকারিতা
বোম্বাই মরিচ খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে তারপর এটি খাওয়া উচিত। কারণ আমরা জানি কোন কিছুর উপকারের পাশাপাশি এর কিছু অপকারিত থাকে। তেমনি বোম্বাই মরিচ আমাদের অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ার সত্বেও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। পরিমিত মাত্রায় খেলে এটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে এটি উপকারের পরিবর্তে অপকার ডেকে আনে। তাই চলুন জেনে নিই বোম্বাই মরিচ খাওয়ার কয়েকটি অপকারিতা সম্পর্কে।
- বোম্বাই মরিচে তীব্র স্বাদ এবং তীব্র তাপমাত্রা থাকার কারণে এটি মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণ বোম্বাই মরিচ খাওয়ার ফলে অনেক সময় পেটে ব্যথা সহ হজমের সমস্যা দেখা যায়।
- অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে এটি আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে অসুস্থ করে দিতে পারে।
- অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণ বোম্বাই মরিচ বা যে কোন মরিচ খাওয়ার ফলে পেটে ঘা সহ আরো অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
শেষ কিছু কথা
টবে বোম্বাই মরিচ চাষ পদ্ধতি আর্টিকেলে আমরা আপনাকে টবে বিভিন্ন উপায়ে বোম্বাই মরিচ চাষ করার পদ্ধতি সহ বোম্বাই মরিচের ভালো জাত কোনটি, বোম্বাই মরিচ চাষের জন্য বীজতলা তৈরি নিয়ম, মরিচ গাছে সার দেওয়ার নিয়ম, বোম্বাই মরিচের উপকারিতা, বোম্বাই মরিচ খাওয়ার অপকারিতা, বোম্বাই মরিচ খাওয়ার নিয়ম এবং বোম্বাই মরিচের আচার বানানোর নিয়ম সহ বোম্বাই মরিচ সম্পর্কের অনেক অজানা বিষয় সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আরো পড়ুন: কোনটি বেশি পুষ্টিকর আপেল না পেয়ারা
আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বোম্বাই মরিচ সম্পর্কিত অনেক তথ্য জানতে পারবেন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে ডিজিটাল আবিদা ওয়েবসাইটির সঙ্গে থাকুন।
ডিজিটাল আবিদা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url